
নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজার—বাংলাদেশের পর্যটন রাজধানী। দেশের গর্ব, আন্তর্জাতিক পর্যটনের সম্ভাবনাময় এক গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। এই বিশাল দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় পর্যটকদের নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা ও সেবার ভার যাঁদের কাঁধে—তাঁদের মধ্যে অন্যতম একজন দক্ষ, দূরদর্শী ও মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা হলেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা কেবল আইন প্রয়োগকারী নন—তিনি সমাজের আস্থার প্রতীক। অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ সেই আস্থার জায়গাটি গড়ে তুলেছেন সততা, পেশাদারিত্ব ও কর্মদক্ষতার মাধ্যমে। তাঁর নেতৃত্বে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চল আজ শুধুমাত্র একটি ইউনিট নয়, বরং পর্যটক-বান্ধব নিরাপত্তা ব্যবস্থার একটি আদর্শ মডেল হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে।
আপেল মাহমুদের নেতৃত্বের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো—তিনি কঠোর শৃঙ্খলার সঙ্গে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিকে সমান গুরুত্ব দেন। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যেমন তিনি আপসহীন, তেমনি অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মনোবল, কল্যাণ ও পেশাগত উন্নয়নের ক্ষেত্রেও তিনি অত্যন্ত সচেতন।
তাঁর নির্দেশনায় ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা শুধু দায়িত্ব পালনই করেন না—তাঁরা সেবা দিতে শেখেন, হাসিমুখে কথা বলতে শেখেন, পর্যটকদের সমস্যা নিজের সমস্যা হিসেবে ভাবতে শেখেন। ফলে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হচ্ছে।
কক্সবাজার অঞ্চলে পর্যটনের মৌসুম, জনসমাগম, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি—সব মিলিয়ে চ্যালেঞ্জের শেষ নেই। এসব প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ প্রমাণ করেছেন, সঠিক পরিকল্পনা ও কার্যকর সমন্বয়ের মাধ্যমে যে কোনো সংকট মোকাবিলা সম্ভব।
বিশেষ করে পর্যটন মৌসুমে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর করা, দ্রুত রেসপন্স টিম গঠন, নারী ও শিশু পর্যটকদের নিরাপত্তায় বিশেষ নজর—এসব উদ্যোগ তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বেরই ফল।
আজ যখন নানা চাপ, সমালোচনা ও চ্যালেঞ্জের মুখে পুলিশ প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে, তখন আপেল মাহমুদের মতো কর্মকর্তারা প্রমাণ করেন—সততা ও নিষ্ঠা থাকলে সাফল্য অবশ্যম্ভাবী। তাঁর কাজ ও আচরণ অধীনস্থদের কাছে অনুপ্রেরণা, আর ঊর্ধ্বতন মহলের কাছে আস্থার প্রতীক।
তিনি বিশ্বাস করেন—“ভালো কাজ কখনো নীরব থাকে না, সময়ই তার সাক্ষ্য দেয়।” এই বিশ্বাস নিয়েই তিনি এগিয়ে চলেছেন।
অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ শুধুমাত্র একজন পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা নন—তিনি একটি দায়িত্বশীল নেতৃত্বের নাম, একটি কর্মসংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি। তাঁর মতো কর্মকর্তাদের হাত ধরেই পুলিশ প্রশাসনের মনোবল ফিরে আসে, জনআস্থা দৃঢ় হয় এবং রাষ্ট্র এগিয়ে যায় নিরাপদ ভবিষ্যতের পথে।
দেশ ও জনগণের কল্যাণে তাঁর এই নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক—এই প্রত্যাশাই আজ সকলের। এসপি আপেল মাহমুদ





















