
চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান:
শ্রমিকদের অধিকার আদায়, ঐক্য সুদৃঢ়করণ ও কল্যাণ নিশ্চিতে ওয়েবসাইট একটি শক্তিশালী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
তিনি মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে নগর ফেডারেশনের ওয়েবসাইট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, শ্রমজীবী মানুষের জীবন ও সংগ্রামের কথা মূলধারার গণমাধ্যমে যথাযথভাবে উঠে না আসায় সাধারণ মানুষ শ্রমিকদের বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে খুব কমই জানে। যুগ যুগ ধরে শ্রমিকরা শোষণ ও বঞ্চনার শিকার হচ্ছে এবং তাদের ন্যায্য অধিকার ও নাগরিক মর্যাদা হরণ করা হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে শ্রমিকদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি ও সংগঠিত করার ক্ষেত্রে একটি কার্যকর ওয়েবসাইট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শ্রমিকরা শ্রম আইন ও বিধিমালা, ন্যূনতম মজুরি, কর্মঘণ্টা, ওভারটাইম, ছুটি, নিরাপত্তা বিধান এবং নারী ও শিশু শ্রম সংক্রান্ত আইন সম্পর্কে জানতে পারবে। পাশাপাশি শ্রম আইনবিষয়ক পরামর্শ ও অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা থাকলে শ্রমিকরা হয়রানি, বরখাস্ত বা বেতনসংক্রান্ত সমস্যায় পড়লে দ্রুত কোথায় যোগাযোগ করতে হবে তা জানতে পারবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন সহ-সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদ উল্লাহ আদিল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম-১০ আসনের প্রার্থী অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নুরুল আমিন এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সভাপতি ইউসুফ বিন আবু বক্কর।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন নগর সহ-সভাপতি মকবুল আহমেদ ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরী, সহ-সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শিহাব উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক হামিদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক স ম শামীম, সহপ্রচার সম্পাদক আব্দুর রহীম মানিক, ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, শিক্ষা প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মজুমদার, পাঠাগার সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, বাকলিয়া থানা সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসাইন প্রমুখ।
মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম আরও বলেন, শ্রমিক সংগঠনের কার্যক্রম ও তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হলে স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়বে এবং শ্রমিকদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পাবে। একই সঙ্গে এটি শ্রমিকদের ডিজিটাল কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করবে এবং মূলধারার মিডিয়ার বাইরে শ্রমিকদের দাবি, নির্যাতন ও বৈষম্যের চিত্র দেশ-বিদেশে তুলে ধরতে সহায়ক হবে। তিনি ওয়েবসাইটটির উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করেন।











